করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিজ দেশের নাগরিক, কূটনীতিক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাদের পরিবার ব্যতীত এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ ২০টি দেশ থেকে অভিবাসী নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সৌদির স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা দেশগুলির তালিকায় রয়েছে- আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, পাকিস্তান, ব্রাজিল, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, লেবানন, মিশর, ভারত এবং জাপান।
আগে গত ৩ জানুয়ারি সৌদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সব ধরনের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ২১ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব।
পরবর্তীতে এর মেয়াদ আরো সাত দিন বাড়ানো হয়। এর ১৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি।
এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।
সাত মাস পর প্রথমবারের মতো গত বছরের ২ নভেম্বর বিদেশিদের কাবায় প্রবেশের সুযোগ দেয়। করোনা এসে সবকিছু বদলে দিয়েছে। হজ এবং ওমরাহ সবই বন্ধ ছিল সাত মাস।
গত বছর মোটে ১০ হাজারের মতো মুসলিমকে হজ পালন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণত প্রতি বছর
গড়ে ২৫ লাখের মতো মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পান।