নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে আজারবাইজানের হয়ে যুদ্ধ করছে পাকিস্তানের সেনারা।
আজারবাইজানের দুজন স্থানীয় ব্যক্তির মধ্যে টেলিফোনে আলাপের সময় দেশটিতে পাকিস্তানের সেনাদের উপস্থিতির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
ফ্রিনিউজ.এম প্রচারিত সেই টেলিফোন আলাপের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
আজারবাইজানে পাকিস্তানি সেনাদের উপস্থিতি সম্পর্কে স্থানীয়দের একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে শোনা গেছে।
টেলিফোন আলাপে শোনা যায়, স্থানীয়রা একে অপরকে বলছিলেন, আমরা কীভাবে লিখতে পারি? আমাদের টাকা নেই। আমরা ভালো আছি, চিন্তার কিছু নেই।
৭ থেকে ৮টি গ্রাম মুক্ত করা হয়েছে। ভয় পেও না। হ্যাঁ, আমি জানি। আমি ইনস্টাগ্রামে দেখেছি। ফিজুলি, আগদাম দখল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
মার্ভ পর্বতও দখলে নিয়েছি। আর পাকিস্তানের সেনাদের একত্রিত করে আগদামের দিকে নেওয়া হয়েছে।
নাগোর্নো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে দুই দেশই যুদ্ধ শুরুর দায় নিতে নারাজ। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে এই বলে যে, আমরা নই বরং অপরপক্ষ যুদ্ধ শুরু করেছে।
এদিকে যুদ্ধ শুরুর জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সংঘাত তীব্র হওয়ার আগেই আর্মেনিয়াকে তার সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানই প্রথম দেশ যে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘর্ষ নিয়ে মন্তব্য করেছে। তুরস্কের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আজারবাইজানকে সমর্থন করছে ইসলামাবাদ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তেরতার, আগদাম, ফিজুলি এবং জাবরাইলে আর্মেনিয় বাহিনীর হামলা দুর্ভাগ্যজনক।
এতে আরো বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান অবশ্যই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আজারবাইজানের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং তার আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করছে। আমরা নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছি।
আঙ্কারার মতো, ইসলামাবাদও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্মেনীয় গণহত্যা স্বীকৃতি দেয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, অটোম্যান বা বর্তমান তুরস্কে ১৫ লাখ জাতিগত আর্মেনিয়ান নিহত হয়েছিল।
তুরস্ক এখনো পর্যন্ত সেই গণহত্যা অস্বীকার করে চলেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ এটি স্বীকৃতি দিয়েছে।