বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখের নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সামরিক সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ২৩০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এই দুই দেশের সামরিক সংঘাতে।
রবিবার আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর গ্যাঞ্জেতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
পাশপাশি নাগর্নো-কারাবাখ এর সীমান্তবর্তী তাদের আরো দুটি শহরে গোলা বর্ষণের অভিযোগ করেছেন আজেরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এতে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো খারাপ দিকে মোড় নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজারবাইজানের এই দাবি অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। তবে নাগর্নো-কারাবাখে তাদের সমর্থিত আর্মেনিয়ানদের প্রধান আরাইক হারুতিউনইয়ান গ্যাঞ্জেতে একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখ এর প্রধান শহর স্টেপানকিয়ার্টে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে বিতর্কিত অঞ্চলটির একটি শহর ও সাতটি গ্রাম দখলে নেওয়ার দাবি করে আজারবাইজন। অন্যদিকে নাগর্নো-কারাবাখে বসবাসরত আর্মেনিয়দের সুরক্ষায় সব ধরনের উপায় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া।
আজারবাইজানের তিনটি বিমান ভূপাতিত করার দাবিও করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুশান স্টেপানিয়ান, যদিও এই তথ্য অস্বীকার করেছে বাকু। এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য ফ্রান্স মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিলেও তাতে কাজ হয়নি। দুই পক্ষই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।
নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে গত রবিবার দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর থেকেই এই অঞ্চলে দুই দেশের বিরোধ চলছে। ১৯৯০ এর দশকে আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠী আজারবাইজানের কাছ থেকে কারাবাখ দখল করে। এ নিয়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সেসময়ই। শুরু হয় যুদ্ধ, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ।
১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সরাসরি সংঘাতের ইতি ঘটলেও এ নিয়ে দু’দেশের বিবাদ অব্যাহত ছিল। নিজেদের অঞ্চল পুনরায় দখলে বেশ কয়েকবারই হুমকি দিয়েছে আজারবাইজান।
গত রবিবার নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতো আঞ্চলিক শক্তি জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানের পক্ষ নিয়েছে।