বারবার সরকারের নিয়ম নীতি অমান্য করার অভিযোগ তুলেছেন সরকারের মন্ত্রীসহ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আর ব্রিটেনে তরুণদের কারণে আবারো করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে হুঁশিয়ারী জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তরুণদের কারণে বয়স্কদের শরীরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে এই আশঙ্কায় ফেস মাস্ক ও অবৈধ রেভ পার্টির উপর আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
মাস্ক ব্যবহার না করলে ১০০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হতে পারে।
অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ব্যবহার অবজ্ঞা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মন্ত্রীরা দেশব্যাপী অবৈধ রেভ পার্টির সমালোচনা করে বলেছেন, ফরেস্ট পার্টি নামেও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করছে তরুণরা।
১৪ দিনের ভিতরে পরিশোধ করলে ৫০ পাউন্ড দিতে হবে। আর নতুন নিয়মে কেউ বার বার এই আইন ভঙ্গ করলে তার ৩২০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ছোট বড় দোকান, সুপারস্টোর, শপিং সেন্টার এবং টেকওয়ে খাবার সংগ্রহের সময়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
অমান্য করে অবৈধ পার্টি করলে বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে, যা পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।
শুধুমাত্র লন্ডনে ৫৩০টি অবৈধ রেভ পার্টি জন্য রাত জুড়ে জড়ো হয়েছিলো তরুণ-তরুণীরা। হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল, পুলিশকে সহায়তা না করে, স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে থাকলে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারী দেন।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, দোকান এবং মিউজিয়ামে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু মেডিকেল কারণ ছাড়া সবাইকে জরিমান গুণতে হবে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ জানিয়েছে, মাস্ক ব্যবহারের জন্য তারা ৯১,৫০১ বার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। ৪৩৯৭ জনকে বোডিং থেকে বিরত রাখা হয়েছে, ৩০৩০ জনকে নেটওয়ার্ক ছাড়তে বলা হয়েছে এবং ৩৪১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।