পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল এবং গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম নিয়ে তুরস্ক, সাইপ্রাস ও গ্রিসের মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক যে এলাকায় তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালাচ্ছে এই তিন দেশের সবাই সেখানকার সম্পদের মালিকানা দাবি করছে। তবে গত মাসে তুরস্ক ও গ্রিস সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার ব্যাপারে একমত হওয়ার পর উত্তেজনা খানিকটা কমেছে।
গতকাল (শুক্রবার) তুর্কী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অব্যাহতভাবে নিষেধাজ্ঞার ভাষায় কথা বলা অগঠনমূলক। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তাদের এই নিষেধাজ্ঞা পরিকল্পনা বেশি দূর এগোতে পারবে না। তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার কারণে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তাতে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন; তবে এ হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আংকারা।
ব্রাসেলসে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইইউ নেতারা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তার একটা অংশ ইতিবাচক কিন্তু পুরো বক্তব্য তা নয়। ইইউ নেতারা বলেছেন, তুরস্ক যদি একতরফাভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাদ দিয়ে সংলাপ এবং পারস্পরিক আস্থার বৃদ্ধির চেষ্টা করে তাহলে তার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং তাকে কিছু সুবিধা দেবে।
এর আগে, গতকাল দিনের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্ককে সতর্ক করে করে বলেছেন, আঙ্কারা যদি ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ বক্তব্যকে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বক্তব্যের কিছু অংশ বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।-পার্স টুডে