ইউরোপে কিছুদিন ধরে যে বিশাল গণবিক্ষোভ হচ্ছে তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারী দ্বিতীয় ধাপে প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারাসহ বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে ইউরোপের বড় বড় শহরগুলোতে সম্প্রতি কয়েকদিনে লাখো মানুষ বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ করেছে।
বৃহস্পতিবার ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন’ এর প্রধান জোজেফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রত্যেককেই যখন একে অপরের কাছ থেকে দেড় মিটার দূরে থাকতে বলা হচ্ছে, ঠিক তখনই প্রত্যেকে একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করছে; একে অপরকে স্পর্শ করছে- এটি মোটেই ভাল কথা নয়। এর ফলে আগামী দু’সপ্তাহেই ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তবে একথা না ফললেই ভাল।”
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ৬ জনের বেশি মানুষের জমায়েতে লোকজনের অংশ নেওয়া উচিত নয়। সেটি যদি বিক্ষোভও হয় তাতেও না। দৈনিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মানুষ কোনো একটি কারণে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চেয়েই রাস্তায় নামে। তাদের সেই অদম্য আবেগের বিষয়টি তিনি বোঝেন। কিন্তু এটা ভাইরাসের ব্যাপার।
মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শ থেকে যেটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস মানুষের সেন্টিমেন্টের ধার ধারবে না। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই এখন করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম পর্যায় পেরিয়ে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। সংক্রমণও গত কয়েক সপ্তাহে কমে এসেছে অনেকটাই।
ইউরোপে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আগেও বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, দ্বিতীয় ধাপের মহামারী হতে পারে গ্রীষ্ম পেরোনোর পর। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে এখন এই ইতিবাচক পরিস্থিতিতে ছেদ পড়তে পারে বলে চিন্তিত তারা।