ইতালির নাগরিকদের ২৮ জুন থেকে বাইরে বের হলে আর মাস্ক পরতে হবে না। করোনা মহামারির শুরুতে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
তবে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগীর চাপ কমতে থাকায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটিতে এখন সংক্রমণ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে।
ইতালিতে গতবছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। সে সময় সংক্রমণ কমাতে দেশটির সরকারকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। মাস্কসহ করোনার বিভিন্ন বিধি-নিষেধ মেনে চলার বিষয়ে বার বার লোকজনকে সতর্ক করেছে তারা। এর সুফলও হিসাবে দৈনিক সংক্রমণ এখন অনেকটাই কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সরকার গত এপ্রিল থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া শুরু করেছে। রেস্টুরেন্ট, বার, সিনেমা এবং জিম পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং দেশজুড়ে স্বাধীনভাবে লোকজনকে চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত একমাত্র মাস্ক পরার ওপরই বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু সেটাও তুলে নেয়ার ঘোষণা দেওয়া হল। তবে সর্বত্র মাস্কের ওপর বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়নি। গণপরিবহন এবং অভ্যন্তরীণ গণসমাগমে মাস্ক পরতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
দেশের জনগণকে মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যেন তারা বের হলে অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে, সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং বিশাল জনসমাগমে মাস্ক পরে নিরাপদ থাকতে পারেন।
আগামী সোমবার থেকেই নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। সংক্রমণের ধীরগতির কারণে ইতালি হোয়াইট জোনে পরিণত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশটির ১৯টি এলাকা হোয়াইট জোনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।