পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
জাফর মির্জা করোনাভাইরাসের এই সময়ে দারুণ কাজ করছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি নানামুখী সমালোচনার শিকার হন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে চলমান নেতিবাচক সমালোচনার মুখে আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি। পাকিস্তানকে সেবা করতে পারাটা আমার জন্য ছিল অগ্রাধিকার। আমি সন্তুষ্ট যে এমন এক সময়ে পদত্যাগ করছি যখন পাকিস্তানে করোনাভাইরাস কমতে শুরু করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সমন্বিত জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস কানাডারও নাগরিক। তার এই দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সম্প্রতি বেশ সমালোচনা হচ্ছিল। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি লিখেছেন— ডিজিটাল পাকিস্তান গড়ার যে উদ্দেশ্য সেটাকে কালো মেঘের ছাঁয়ায় ঢেকে দিয়েছে আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে করা সমালোচনা। সুতরাং বৃহত্তর জনস্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদগ্যাতপত্র জমা দিয়েছি। আমি আমার দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাজ করে যাবো।
চলতি মাসের শুরুতে জানা যায় যে প্রধানমন্ত্রীর অনির্বাচিত ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে ৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। অন্য দুজনের রয়েছে বিদেশে স্থায়ী আবাসস্থল। আর এই বিষয়টি নিয়েই বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা করছিল।