ইরাক থেকে কিছু সেনা প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। সোমবার এই সিদ্ধান্ত দেশটির আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছে ক্ষমতাসীন জার্মান সরকার।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এরপর থেকে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ‘চরম প্রতিশোধ’নেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়েছে ইরান। মার্কিন সেনাদের দেশ থেকে বের করে দিতে একটি প্রস্তাবও পাস করে ইরাকের পার্লামেন্টে। কোনো কারণেই যাতে বিদেশি সেনারা ইরাকের স্থল, জল ও আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানানো হয় ওই প্রস্তাবে।
একইদিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি করে তেহরান। এর একদিন পর সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এক মার্কিন জেনারেলের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্রে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে এমন খবর প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিল জার্মানি। খবর ডয়েচে ভেলের।
জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে দেশটির সংসদকে জানানো হয়েছে, ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য বাগদাদে নিয়োজিত জার্মানির ১২০ সেনার মধ্যে ৩০ জনকে জর্ডান এবং কুয়েতে মোতায়েন করা হবে।
তবে ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হলে সরিয়ে নেওয়া জার্মান সেনাদের ফের সেখানে পাঠানো হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে জার্মান সরকার।