লেবানন ও ইসরায়েলের বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ লেবাননের শেবা ফার্মস সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েল শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এটিকে হিজবুল্লাহ কর্তৃক হামলা বলে উল্লেখ করেছে।
হিজবুল্লাহ সীমানা অতিক্রম করে ইসরায়েলি এলাকায় হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে শুরু হলে ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়া হয়।
একজন ইরানি কমান্ডার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার জেরে হিজবুল্লাহ এই হামলা করেছে বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর। তবে কোন কমান্ডার এবং কবে এই ঘটনা সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
হিজবুল্লাহ প্রথমে হামলা করতে করতে ইসরায়েলের সীমানায় প্রবেশ করে। ইসরায়েলের সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা পিছু হটে।’ কোনো ইসরায়েলি আটক বা হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক যান লক্ষ করে মিসাইল ছুঁড়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রয়টার্স এক খবরে বলেছে, হিজবুল্লাহর একজন কমান্ডার গত সপ্তাহে নিহত হওয়ার জেরে যে কোনো সময় নতুন করে সংঘর্ষ বাধতে পারে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে। এই হামলাকে সেই ভবিষ্যৎবাণীর বাস্তবায়ন বলে মনে করা হচ্ছে।
লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপমহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ায় তাদের সদস্য আলী কামেল মোহসিনকে বিমান হামলার মাধ্যমে হত্যা করে ইসরায়েল। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি ইসরায়েলকে কঠিন পরিণাতির হুমকি দেন।
১৯ বার লেবাননের আকাশ সীমা লঙ্ঘণ করে ইসরায়েলে গোয়েন্দা ড্রোন। এসম হিজবুল্লাহ গুলি করে একটি ড্রোন ভূপাতিত করে। এতে উত্তেজনা বাড়ে লেবানন-হিজবুল্লাহ শিবিরে। এসবের জবাবে হিজবুল্লাহ এই হামলা করে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, হিজুল্লাহর পক্ষ থেকে এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। সিরিয়া সফলভাবে ইসরায়েলের কয়েকটি ক্ষেপনাস্ত্র আকাশেই ধংস করে দেয়।