চীনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়েছেন আমেরিকান এক কূটনীতিক। এরপরেই মায়ানমারের মার্কিন ও চীনা দূতাবাসগুলি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে।
হংকংয়ের স্বতন্ত্র গণতান্ত্রিক চেতনা নষ্ট করার দায়ী চীন। সেই সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর এবং হংকং নিয়ে বেইজিংয়ের নেওয়া পদক্ষেপ এর প্রতিবেশীদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার একটি বড় প্রক্রিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই কূটনীতিক বলেন, চীন তার প্রতিবেশী মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। এবং মিয়ানমারকে হুমকি দিতে নানা রকমের আচরণ করে যাচ্ছে।
চীনের অভিযোগ, বিদেশি মার্কিন সংস্থাগুলো চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে মারাত্মক জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যমে স্বার্থপর, ভণ্ডামি, অবজ্ঞাপূর্ণ এবং কুরুচিপূর্ণ চেহারা দেখিয়েছে যুক্তারাষ্ট্র।
লিখিত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে ওই কূটনীতিক বলেছেন, মৎস্য চাষের সীমানা পরিবর্তনের পরিবর্তে কাচিন রাজ্যে অনিয়ন্ত্রিত কলা বাগান গড়ে তুলেছে চীন। যার ফলে বাধ্যতামূলক শ্রম ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। উত্সাহমূলক সামুদ্রিক দাবি পরিবর্তে, এটি খনন ও বনজ খাতে নিয়ন্ত্রিত বিনিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে চীনা দূতাবাস। বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে চীনকে হেয় করা। দক্ষিণ চীন সাগর ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই বেইজিংয়ের সঙ্গে এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
মিয়ানমারকে নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের জবাবে চীনা বলছে, মিয়ানমারে চীনের বিশাল বিনিয়োগগুলোকে নষ্ট করতে কুৎসা রটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারে চীনের নিয়োগ বন্ধে সামাজিক সংগঠনগুলোকে লেলিয়ে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তারা চায় যাতে চীন মিয়ানমারের সুসম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হয়।
বিষয় চীনা দূতাবাস সতর্কতা জানিয়ে বলেছে, মার্কিন ষড়যন্ত্র সফল হলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীন মিয়ানমারের বন্ধুত্ব সহ্য করতে পারছে না মার্কিনরা।