ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন রানিংমেট হিসেবে মনোনীত করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে।
তবে বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কমলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘অযোগ্য’ বলে বসলেন তিনি। এমনকি যোগ্যতার নিরিখে কমলার চেয়ে তাঁর মেয়ে ইভাঙ্কা ঢের এগিয়ে বলে দাবি করলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেনের রানিংমেট কমলা একেবারেই অযোগ্য। এমনকি কমলার চেয়ে আমার মেয়ে ইভাঙ্কা অনেক বেশি যোগ্য। সমাবেশে বাইডেনের চেয়ে কমলাকে বেশি আক্রমণ করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প। তারপর শুক্রবার সপরিবারে হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দেন। সেখানেই সমর্থকদের সামনে কমলা হ্যারিসকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
আমিও চাই কোনো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। কিন্তু উনি (কমলা) যেভাবে প্রেসিডেনশিয়াল পদ পাওয়ার জন্য এগোচ্ছিলেন, সেভাবে কোনো নারীকে দেখতে চাই না আমি। উনি একেবারেই যোগ্য নন। হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন জো বাইডেনের ব্যর্থতা।
মন্তব্যের পরেই তাঁর সমর্থকরা ইভাঙ্কার নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাতে ট্রাম্প বলেন, দেখুন সবাই বলছেন, আমরা ইভাঙ্কাকে চাই। আমি আপনাদের দোষ দিচ্ছি না।
এরপর কমলাকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, ওঁর কী যোগ্যতা? সৌন্দর্য? হ্যাঁ, উনি সুন্দরী বটে। কিন্তু ওরা এমন একজন নারীকে বেছে নিয়েছে, যিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার তো ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তা ১৫ থেকে ১২, সেখান থেকে ৯, ৮, ৫, ৩ এবং ২— ক্রমাগত নামতেই থাকে। তাতেই উনি জানিয়ে দেন, আমি সরে যাচ্ছি। এটাই আমার সিদ্ধান্ত। আসলে ভোট পাবেন না জেনেই সরে গিয়েছিলেন। উনি যদি আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতেন, ভয়ংকর রকমের খারাপ প্রেসিডেন্ট হতেন।
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে তুরুপের তাস করে বহিঃশত্রুরা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা সময় জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্র্যাট বিতর্কসভায় একসময় জনসমক্ষে বাইডেনকে খুবই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
কিন্তু জনপ্রিয়তা ও সমর্থনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে গত বছর নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। তারপর পুরনো শত্রুতা দূরে রেখে, আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেন বাইডেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এটাকে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সঠিক প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন ডেমোক্র্যাটরা।