১৪ দিনেরও বেশি সময় ভুগে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো। দেশটির ৬৫ বছর বয়সী এ রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, তার সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর তিনি একটি মোটর শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বোলসোনারো নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে এ কথা নিশ্চিত করেন।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের একটি বক্সের ছবি দেন এবং করোনামুক্তির জন্য হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে ধন্যবাদ জানান।
৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত তিন দফায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হয় যেখানে সবগুলো রিপোর্টের ফলাফল পজিটিভ আসে। কিন্তু সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের করোনামুক্তির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানালেও সর্বশেষ যে পরীক্ষা করেছিল সে ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি।
মাঝে মাঝে দেখা গেছে বাসভবনের বাইরেও এসেছেন তিনি। কয়েকদিন আগে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করে তার সমর্থকদের তিনি শুভকামনা জানান এবং কিছু সময়ের জন্য তিনি মাস্কও খোলেন। আর এ জন্য তাকে তীব্র সমলোচনায় পড়তে হয়।
সমালোচকদের তিনি কোনওরকম তোয়াক্কা করেননি।
করোনাকে কে ‘সাধারণ ফ্লু’ হিসেবে বলে এসেছেন। দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি মাস্ক পরতেন না বরং সমাবেশ করে বেড়াতেন। পরে দেশটির আদালত ‘প্রেসিডেন্ট মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে’ এমন আদেশও দিতে বাধ্য হন।
এমনকি লকডাউন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ব্রাজিলের দু’জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এখনও স্থায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাননি ব্রাজিলিয়ানরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টও বারবার এই করোনা ভাইরাসকে তুচ্ছ করে দেখছিলেন। নিজের দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও এসব নিয়ে তিনি কোনো চিন্তা করে চরিত্রে বদল নিয়ে আসেনি। তিনি নিজের অ্যাথলেটিক শরীরের ওপর আস্থাশীল ছিলেন এবং বলেছিলেন, আমি সংক্রমিত হলেও তেমন ক্ষতি হবে না।