মহামারিতে আগে থেকেই বিপর্যস্ত ছিল ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই। ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটেছে মুম্বাইয়ে।
এরই মধ্যে এসেছে নতুন বিপদ। অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মুম্বাই ও তার সংলগ্ন এলাকা। ক্রমে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও ভারি বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার বিকেলে তার সঙ্গী হয় ঝোড়ো হওয়া। সন্ধ্যায় একসময় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০৭ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যায় শহরের ওপর দিয়ে। আর এ দুইয়ের তাণ্ডবে ভারতের বাণিজ্যনগরীর অবস্থা বেহাল।
অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে মুম্বাইয়ের পেড্ডার এলাকায় বুধবার রাতেই বিরাট ধস নামে। তার ফলে সকাল থেকেই সেখানে রাস্তা বন্ধ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। সব গাড়ি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। চলছে রাস্তা পুনর্নির্মাণের কাজ।
বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। সিওনের গান্ধী মার্কেট এলাকা, মুম্বাই সেন্ট্রাল, গোল দেভাল, সন্ত রোহিদাস চকসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ট্রাফিক ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
একেবারে লণ্ডভণ্ড অবস্থা মুম্বাইয়ের। শহরের সরকারি জেজে হাসপাতালের ভেতরে পানি জমে গেছে। একাধিক এলাকায় বন্যার পানি জমে এবং গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যান চলাচল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মুম্বাইয়ের লাইফলাইনখ্যাত লোকাল ট্রেন পরিষেবাও।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুম্বাইবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। জরুরি কাজ ছাড়া মুম্বাইবাসীদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছেন তিনি।