করোনার প্রকোপ শেষ কিংবা বিধি-নিষেধ শিথিল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাবে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেলেও দুই কোটি নারী শিক্ষার্থীর আর কখনোই স্কুলে ফেরা হবে না।
এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী এবং নারী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই।
মহামারির মধ্যেও পৃথিবীর গতি ফিরতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। তবে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার চেষ্টা করা হলেও, তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ আক্রান্ত দেশে এখনো বন্ধ স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের ১৬০ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।
তবে বিশ্ব এ পরিস্থিতি সামলে উঠলে দেশে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফের খুলে দেওয়া হলেও কতজন নারী শিক্ষার্থী আবার স্কুলে পড়াশোনা করতে যাবেন, তা নিয়ে সন্দিহান মালালা ইউসুফজাই।
জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তাই নারী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিষয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন তিনি।
মালালা বলেন, মহামারি সংকট শেষ হলেও আরো দুই কোটি মেয়ে ঝরে পড়বে। যাদের আর কখনোই ফেরা হবে না স্কুলে। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দের ঘাটতি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মালালা বলেন, নারীশিক্ষার মতো বিশ্বের সামষ্টিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে মারাত্মক আঘাত হেনেছে করোনা। গত মাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা ১৯০ দেশের ১৬০ কোটি শিক্ষার্থীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; এমন এর আগে কখনো হয়নি।
এই সংকটে যে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ৯৯ শতাংশ নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের।