যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান একজন সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যা করার জন্য কানাডায় ঘাতক স্কোয়াড পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কর্মকর্তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় এ অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পরপরই ওই ব্যর্থ হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়।
সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরিকে হত্যা করতেই ওই স্কোয়াড পাঠিয়েছিলেন বিন সালমান।
তিন বছর আগে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং তখন থেকে তিনি দেশটিতে নিরাপত্তা সুরক্ষা ভোগ করছেন।
সৌদি ঘাতক-স্কোয়াডটি কানাডার পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের সময় কানাডার গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহের চোখে পড়ে যায়।
কারণে তারা সাদ আল-জাবরিকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়। ৬১ বছর বয়সি জাবরি সৌদি আরবে ব্রিটেনের এমআইসিক্স’সহ পশ্চিমা গুপ্তচর সংস্থাগুলোর তৎপরতা সম্পর্কে সম্যক অবহিত।
যুবরাজকে সরিয়ে দিয়ে কীভাবে মোহাম্মাদ বিন সালমান ষড়যন্ত্র করে সৌদি যুবরাজের আসনে বসলেন সে সম্পর্কিত তথ্য ভালো করে জানা আছে সাদ আল-জাবরির। কাজেই তিনি যাতে এসব তথ্য ফাঁস করে দিতে না পারেন সে লক্ষ্যে বিন সালমান তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জাবরি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াশিংট ডিসি’র আদালতে আনীত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর কানাডায় ঘাতক স্কোয়াড পাঠান বিন সালমান। বিমানবন্দরে তাদের কাছে টুকরো টুকরো করার যন্ত্র পাওয়া গেলে কানাডার ইমিগ্রেশন পুলিশ সন্দেহ করে। এরপর আর ওই মিশন সফল হয়নি। এই অভিযোগ সম্পর্কে সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন প্রখ্যাত সৌদি সংবাদিক জামাল খাশোগি। ওই হত্যাকাণ্ডে মোহাম্মাদ বিন সালমান সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পরও ক্ষমতা ও টাকার জোরে পার পেয়ে যান সৌদি যুবরাজ।