রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও গোকাডার প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটানে খুন হয়েছেন। ১৪ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ম্যানহাটনের ইস্ট হাউস্টন স্ট্রিট ও সাফোক স্ট্রিট–সংলগ্ন ফাহিম সালেহর নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে লাশটি টুকরা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা গেছে, ১৩ জুলাই ফাহিম সালেহ ভবনের সপ্তম তলায় তার অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠছেন। এ সময় স্যুট পরা, হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরা একজনকে তার পেছনে যেতে দেখা গেছে। এর পরই হয়তো ফাহিমকে হত্যা করা হয়। ওই ব্যক্তিকে পেশাদার হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার হাতে একটি ব্রিফকেস ছিল।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার বাবা সালেহ উদ্দিন চট্টগ্রামের, আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে। তিনি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় গিয়ে পাঠাও চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন তিনি। ফাহিম নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কম্পানির মালিক। ইন্দোনেশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশেও তিনি ব্যবসা বিস্তৃত করেছিলেন।
বাংলাদেশে পাঠাও কম্পানিতে নিজের শেয়ার বিক্রি করে নাইজেরিয়াতে একই ধরনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন পেশায় ওয়েব ডেভেলপার ফাহিম সালেহ। গত জানুয়ারিতে নাইজেরিয়ায় ‘গোকাডা’ নামের তার কম্পানিটি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ে।
মঙ্গলবার হত্যার আগে মুখোশ পরা এক ব্যক্তি গোকাডার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করেছিলেন বলে নতুন তথ্য উঠে এসেছে।