গ্রিসের শরণার্থী শিবিরে নতুন করে আগুন লেগেছে। ছাই হয়ে গেছে আরও কয়েকটি শিবির। সমালোচকদের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শরণার্থী নীতি বদল করা উচিত।
বুধবার রাতে নতুন করে আগুন লাগে গ্রিসের শরণার্থী শিবিরে।
রাতের আগুনে অনেকগুলি শিবির পুড়ে গেছিল। উদ্বাস্তুরা পালিয়েছিলেন। এবার বাকি শিবিরগুলিও পুড়ে গেল।
আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শরণার্থীরাই শিবিরে আগুন লাগিয়েছেন। কারণ লকডাউনের কড়াকড়ি নিয়ে তারা অত্যন্ত অখুশি ছিলেন। একজন শরণার্থীর করোনা হওয়ার পর এই শিবিরগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউন চালু করা হয়েছিল।
আগুন লাগার পর সরকার যে তদন্ত শুরু করেছে, তাতে শরণার্থীরাও সন্দেহের বাইরে থাকছেন না। তারাই আগুন লাগিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রীও আগুন লাগানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এ কথা মানতেই হয় যে, শরণার্থীদের কোয়ারেন্টিন করার পরই আগুন লাগল।
মঙ্গলবার যে বেআইনি কাজ হয়েছে, তা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে। যারা আশ্রয়প্রার্থী, তাদের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে।
তবে সমালোচকরা গ্রিক কর্তৃপক্ষ ও ইইউ-র কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, শরণার্থীদের শিবিরগুলিতে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছিল।
আগুন লাগার সময় শিবিরগুলিতে ১২ হাজার উদ্বাস্তু ছিলেন। অথচ থাকার কথা তিন হাজারের মতো।