১৫ জুন পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের বাহিনীর সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হন। তারপর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ পরিস্থিতি। লাল ফৌজকে উপযুক্ত জবাব দিতে ফুসছে পুরো ভারত।
মোতায়েন হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা। টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক, বসানো হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম। তবে বেইজিংও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়, সীমান্ত থেকে একচুলও পিছু তো হটেইনি উল্টো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন-ভারত রক্তক্ষয়ী সংঘাত আসন্ন বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে মোদি আচমকা লাদাখ সফর নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে চীন। কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর এডিটর-ইন-চিফ হু শিজিন মোদির লাদাখ সফর নিয়ে টুইট করেছেন। সেখানে মোদির সফরকে রাজনৈতিক চমক বা স্টান্ট বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এরপরেই চরম হুঁশিয়ারি। সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ভুলেও যেন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ধারে কাছে না আসে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ক্রমশ জটিল হচ্ছে লাদাখের পরিস্থিতি। শুক্রবার সকালে হঠাত করেই লাদাখে পৌঁছে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সীমান্তে এখন প্রতি মুহূর্তে চাপা টেনশন, কড়া নজরদারি। এই পরিস্থিতিতে সেনাদের মনোবল আরো চাঙ্গা করতে লাদাখ যান মোদি।
আমি বুঝতে পারছি প্রধানমন্ত্রী মোদির সীমান্তে রাজনৈতিক চমক দেখিয়ে কড়া কড়া কথা বলা দরকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু দয়া করে চুপি চুপি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের বলে দিন, যে চীনকে তোমরা চেন, সে কিন্তু ভারতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিধর। পিএলএ-র সঙ্গে যেন তারা পাল্লা দিতে না যায় কেননা পিএলএ-র কাছে তারা কিছুই নয়।
শুক্রবার হঠাৎ লাদাখ পরিদর্শনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্তে দাঁড়িয়েই চীনকে কড়া বার্তা দেন। বলেন ‘গালওয়ান আমাদের’। লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে শুক্রবার ভোরেই লাদাখে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি।