সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতে চীনা পণ্য বয়কটের প্রচার চলছে জোরেশারেই। তবে, বিকল্প ব্যবস্থা না করে আবেগের বশে উদ্যোগ নেয়ায় এর নেতিবাচক ফলও ভোগ করতে হচ্ছে দেশটিকে। সেখানে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম।
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখে চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত। এরপর থেকেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চীনের জাতীয় পতাকা ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি পোড়ানোর পাশাপাশি দাবি উঠেছে চীনা পণ্য বয়কটের। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়েছে দেশটির ওষুধশিল্পে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, উত্তরাখণ্ডে শতাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার এক শীর্ষ ওষুধ উৎপাদক সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকার ঘটনায় চীন বয়কটের ডাক ওঠার জেরে ওষুধের কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থাগুলো রাতারাতি ৩০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দোহাই দিলেও মূলত অনৈতিক উপায়ে লাভবান হওয়ার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে বলে মত এ ব্যবসায়ীর।
জানা গেছে, ভারত ওষুধ তৈরির কাঁচামালের ৮০ শতাংশই আমদানি করে চীন থেকে। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে তা কিনতে গেলে দ্বিগুণ দাম দিতে হয়।
হরিদ্বারের এক ওষুধ উৎপাদক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, চীন থেকেই ভারতে তৈরি বেশিরভাগ ওষুধের উপাদান জোগাড় করা হয়। এমনকি, সাধারণ প্যারাসিটামল তৈরি করতে গেলেও চীনা কাঁচামালের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। তাই, ভারতের জন্য চীনা পণ্য পুরোপুরি বয়কট একপ্রকার অসম্ভব।