চীন-জাপান বৈরিতা নতুন কিছু নয়। ১৯৩৭ সালে নানজিং গণহত্যা থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত জাপ বাহিনীর হাতে হেনস্তার কথা ভোলেনি চীন। তবে বিগত কয়েকদশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমীকরণ আমূল পালটেছে।
জাপান আগ্রাসনের পথে থেকে সরে গেলে, সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে চীন। ফলে ২০২০ সালেও দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হয়ে ওঠেনি। এবার পারদ আরও চড়িয়ে চীন সীমান্তে ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েন করেছে জাপানি ফৌজ।
দক্ষিণ-চীন সাগর থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত আগ্রাসী মনোভাবের জন্য একসঙ্গে বেশ কয়েকটি শক্তিধর দেশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে চীন। বেজিংয়ের মনোভাব নিয়ে ক্রমেই সন্দেহ বাড়ছে টোকিও থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত।
এহেন টালমাটাল সময়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে পূর্ব চীন সাগরের সামনেই প্যাট্রিয়ট পিএসি থ্রি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে জাপান। সরাসরি যার নিশানায় রয়েছে চীন।
শুধু তাই নয়, জাপান জানিয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই চারটি সেনাঘাঁটিতে পিএসি থ্রি এমএসই মিসাইল বসানো হবে। যেগুলি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টোকিওর সঙ্গে বেজিংয়ের চরম বিবাদ শুরু হয়েছে। জাপানের নাকের ডগায় মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছে চীন। তারই জবাবে জাপানের এই মিসাইল সক্রিয়তা বলে খবর।
এদিকে, চীনের উপর চাপ বাড়িয়ে মার্কিন নৌসেনার তিনটি বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে টহলদারি শুরু করেছে। ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ইউএসএস নিমিৎজ। তার মধ্যে একটি রণতরী রয়েছে ফিলিপিন্স সাগরের কাছেই।