চীন ও ভারতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ শুরু হয়েছে তা নিরসনে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সেখানে পরিস্থিতি বেশ খারাপ। উভয় দেশই সেখানে অনেক বেশি শক্তি প্রদর্শন করছে। এমনকি অনেকে সেটা বুঝতেও পারছেন না। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
ওই সংঘাতের পর উভয় দেশ বর্ডার অব কন্ট্রোল-এলএসি জুড়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত বৃহস্পতিবার সেখানে যান ভারতের সেনাপ্রধান।
সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে রাশিয়ার মস্কোতে আছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফ্যাং।
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন এর ওই সম্মেলনের বিরতিতে শুক্রবার দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক করেছেন বলে জানায় উভয় দেশের সংবাদমাধ্যম।
বৈঠকে উই ফ্যাং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথকে বলেছেন, সীমান্তে বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তার পুরো দায় দিল্লির। অন্যদিকে রাজনাথ এক টুইটে জানিয়েছেন, ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে ওই বৈঠক চলেছে। এ বিষয়ে আরো কিছু জানাননি তিনি।
চীন বা ভারত কেউ এই বিরোধকে আগে বাড়িয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে আগ্রহী নয়। এই বিরোধ সমাধানে সাহায্যের জন্য ওয়াশিংটন উভয় দেশের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান ট্রাম্প।
আমরা চীন ও ভারতের প্রতি সম্মান রেখেই তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি। যদি আমরা কিছু করতে পারি, তবে আনন্দচিত্তেই আমরা সেটা করবো, যাতে তাদের সাহায্য হয়।
ট্রাম্প চীন-ভারত বিরোধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জবাবে চীন বারবার তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলেছে, মধ্যস্থতার জন্য তাদের তৃতীয়পক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই। ভারতও এ বিষয়ে চুপ থেকে তাদের আনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে।