বারবার বৈঠক এর পরেও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতিতে কোনও উন্নতি নেই। প্রতিদিনই কার্যত ছক বদলে চলেছে চীন। তবে সেনা সরানোয় নেই কোনও সদর্থক পদক্ষেপ।
ক্রমশ সেনা বিল্ড আপ চালাচ্ছে বেইজিং। এই পরিস্থিতিতে এবার চীন সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হলো শক্তিশালী অস্ত্রসম্পন্ন ভারতীয় সেনাবাহিনী। চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে এবার কড়া সিদ্ধান্ত ভারতের।
চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় বাহিনী, যাদের কাছে রয়েছে রাশিয়ার শক্তিশালী ইগলা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
ভারতের আকাশসীমায় শ্ত্রুদের অনুপ্রবেশকে আটকাতে সক্ষম।
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় বাহিনীও। সামরিক শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার কাছ থেকে ৯কে৩৮ ইগলা মিসাইলের দ্রুত আমদানি করেছে ভারত।
ভারতীয় আকাশ সীমায় ঢুকলে চীনা ও পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে সহজেই ধরাশায়ী করতে পারবে বলে ভারতীয় সেনা জানিয়েছে।
লাইন-অফ-অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এলাকায় কাঁধে রাখার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়েই চীনকে এভাবেই কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করেছে ভারত।
কোনও রকম উসকানিমূলক কাজ এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনকে আটকাতে সক্ষম এই অস্ত্র।
ভারতের মাটিতে ঢুকলেই হামলা চালাতে সক্ষম এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চীনকে মুখের ওপর জবাব দিতে সীমান্তে ভারত সাজিয়েছে সুখোই ৩০ এমকেআই, মিগ ২৯ ও মিরাজ ২০০০।
অন্যদিকে সুকৌশলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সাজিয়ে যাওয়া। একের পর এক এলাকায় সেনা সাজাচ্ছে চীন। ক্রমশ উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত।
সামরিক কায়দায় জবাব দেওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। তবে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আর সেই সমাধানের রাস্তা বন্ধ হলেই সামরিক রাস্তায় এগনোর কথা ভারত ভাববে বলেও জানিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস)।
৭টি বিমানবাহিনীর ঘাঁটির তালিকা তৈরি হয়েছে, যেখানে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে। এই ৭টি বিমানবাহিনীর ঘাঁটি হলো- হোটান, গার গুনসা, কাশঘার, হোপিং, ঢোংকা ডিজং, লিংঝি ও পনঘাট।
সাতটি বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ছড়িয়ে রয়েছে চিনের ঝিজিয়াং ও তিব্বত রিজিয়নে। চীনা বিমানবাহিনীর সাতটি ঘাঁটির ওপর কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় সেনা।