অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান। জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থা (আইএইএ) দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন শেষে এমনটাই জানিয়েছে বলে শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বোমা তৈরিতে প্রধান উপাদান ইউরেনিয়াম। তবে তেহরান সবসময় দাবি করছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য।
আইএইএ বলছে, এখন ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুতের পরিমাণ ২ হাজার ১০৫ কেজি। যা অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
সম্প্রতি সন্দেহভাজন দুটি পুরোনো পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনে তদন্তকারীদের অনুমতি দেয় ইরান।
গতকাল শুক্রবার আইএইএ-এর তদন্তকারীরা সন্দেহভাজন দুটি পারমাণবিক স্থাপনার মধ্যে ইরানের পুরোনো একটি পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শন করে। এরপরই জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থাটি এমন দাবি করল।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি তারা চলতি মাসের শেষ দিকে পরিদর্শন করবে। ২০১৮ সালে মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির করা পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গত বছর থেকে ইরান চুক্তিটির অঙ্গীকার থেকে সরে আসতে থাকে।
২০১৫ সালে ওই চুক্তিতে ইরান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য স্বাক্ষর করেছিল। পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর শুরু হয় এ নিয়ে উত্তেজনা। ইরান প্রকাশ্যে চুক্তির শর্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিতে শুরু করে। তবে বাকি পক্ষ চুক্তি থেকে সরে যায়নি।
চুক্তি অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের চেয়ে অনেক কম মাত্রায় ইউরেনিয়াম ইরানের উৎপাদন করার কথা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি থেকে সরে ইরানের ওপর পুনরায় ও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ইরানও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে।
চুক্তি অনুযায়ী ইরানের সর্বোচ্চ ৩০০ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে থাকার কথা। কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম যাতে ইউ-২৩৫ থাকে তিন থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে তা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের তেল উৎপাদনে। আর অস্ত্র বানানোর ইউরেনিয়াম অন্তত ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হতে হয়।