ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করেছে যোগিরাজ্যের পুলিশ। আইন পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চিন্ময়ানন্দকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠান আদালত।
বুধবার সকাল ৯টায় গ্রেপ্তার করা হয়ে চিন্ময়ানন্দকে। জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে। তার ঠিক তিন দিন আগে যোগি পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতাকে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। সম্প্রতি ওই আইনের ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ তোলে, স্বামী চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তারে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে যোগি পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টিম বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেপ্তার করে। হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপের পর, আদালতে পেশ করা হয়। ৭২ বছর বয়সী এই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রী।
স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ৩৭৬সি (কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যক্তির দ্বারা যৌন মিলন), ৩৫৪ডি (গোপনে নজরদারি), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) ও ৫০৬ (ভয় দেখানো) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরে আদালতে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ আনেন আইনের স্নাতকোত্তর স্তরের ওই ছাত্রী। তার অভিযোগ, ‘ব্ল্যাক মেইল’ করে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ।
এর আগে গত বছর ২৪ অগস্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান আইনের ওই ছাত্রী। নিখোঁজ হওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে স্বামী চিন্ময়ানন্দের নাম না-করেই ওই ছাত্রী বলেন, তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মেয়েটির বাবা প্রথম চিন্ময়ানন্দের নাম প্রকাশ্যে আনেন।