সাম্প্রতিক শিরোনাম

জার্মানির চেয়ে পোল্যান্ডকে বিশ্বস্ত মিত্র মনে করছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে তারা জার্মানি থেকে ১২ হাজার সৈন্য সরিয়ে নেবে তখন ন্যাটোর জোটের সদস্য দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

মাইক পম্পেও শনিবার ওয়ারসতে পোলিশ সরকারের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছেন যার আওতায় জার্মানিতে মার্কিন ঘাঁটি থেকে আপাতত এক হাজার সৈন্য পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে। ফলে পূর্ব ইউরোপের এই দেশে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা দাঁড়াবে ৫ হাজার ৫০০।

মার্কিন সেনাবাহিনীর পঞ্চম কোরের সদর দপ্তর জার্মানি থেকে সরে পোল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।

চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিলেন, তিনি জার্মানির চেয়ে পোল্যান্ডকে বিশ্বস্ত মিত্র মনে করছেন।

১২ হাজারের মধ্যে অর্ধেকই নেয়া হবে পোল্যান্ডে। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে জার্মানিতে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা বর্তমানের ৩৬ হাজার থেকে নেমে দাঁড়াবে ২৪ হাজারে।

জার্মানি থেকে সৈন্য সরিয়ে পোল্যান্ডে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত, কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষক এর পেছনে ট্রাম্পের নিজস্ব রাজনীতি দেখছেন।

ন্যাটো জোটের ওপর যেমন তেমনি জার্মানির সাথে সম্পর্কের ওপর এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের অনেক নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকরা আপত্তি তোলেন।

২০১৮ সাল থেকে পোল্যান্ডের রাজনীতিকরা আরও সৈন্য মোতায়েন করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ক্রমাগত দেন-দরবার করে চলেছেন।

ফোর্ট ট্রাম্প নামে পরিচিত এই প্রস্তাবে পোল্যান্ড বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন সেখানে স্থায়ী একটি ঘাঁটি তৈরি করে পুরো এক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করে।

পোল্যান্ডের মত যে দেশ প্রতিরক্ষার জন্য যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত, তেমন একটি দেশকেই তিনি মিত্র হিসাবে বেশি পছন্দ করেন।

চুক্তিতে তেমন কোনো প্রতিশ্রুতির কথা না থাকলেও জনাথন মার্কাস বলছেন, ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন তিনি কী চান।

প্রভাবশালী জার্মান রাজনীতিক মার্কাস সোয়েডার খোলাখুলি বলেছেন সৈন্য সরানোর এই সিদ্ধান্ত জার্মান-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করবে।

রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মিট রমনি বলেন, মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এটি বিশ্বস্ত একটি মিত্র দেশের গালে চড় মারার সামিল।

ডেমোক্র্যাট সেনেটর জ্যাক রিড মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী কাজ।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউরোপে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন, জার্মান মিডিয়া ডয়েসে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত কোনো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা হয়নি।

ট্রাম্প এসব কোনো কথারই তোয়াক্কা করছেন না, এবং জার্মানিকে লক্ষ্য করে এমন সব কথা বলছেন যার নজির বিরল।

সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থের বিরোধী কারণ এতে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করবে যা রাশিয়ার জন্য ভালো হবে। ক্রেমলিনকে একটি উপহার দেওয়া হচ্ছে। জার্মানিতে ৩০ শতাংশ সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে দিলে, তা রাশিয়াকে দারুণ সাহায্য করবে।

প্রতিরক্ষার জন্য জার্মানি পয়সা খরচ তো করছেই না বরঞ্চ মার্কিন ঘাঁটি থেকে তারা পয়সা বানাচ্ছে। ট্রাম্পের এসব মন্তব্য এবং সিদ্ধান্তে জার্মানিতে মার্কিন বিরোধী মনোভাব দিন দিন প্রবল হচ্ছে।

আমরা সৈন্য সরাচ্ছি কারণ তারা (জার্মানি) খরচ বহন করছে না। খুব সহজ কথা। আমরা আর তাদের খাওয়াতে পারবো না।

৮৫ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক এখন খারাপ বা খুবই খারাপ, এবং সিংহভাগ জার্মান এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দূরত্ব চাইছে।

মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো সম্প্রতি তাদের এক বিশ্লেষণে লিখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র-জার্মান সম্পর্ক শুধু সঙ্কটেই পড়েনি, এই সম্পর্ক এখন লাইফ সাপোর্টে।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...