ইরানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৭৮ হাজার আটশ ২৭ জন এবং মারা গেছে ১৪ হাজার ছয়শ ৩৪ জন। সে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ছয়শ ২৫ জন এবং মারা গেছে দু’শ ২৯ জন। ইরানে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল গত ৯ জুলাই; ওইদিন দু’শ ২১ জন মারা গেছে। অথচ করোনায় ইরানে দৈনিক মৃত্যু কমে ২০ জনের নিচে চলে এসেছিল।
ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার পর ইউরোপে প্রকোপ শুরু হলে তালিকায় ইরানের নামও ছিল। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকায় ইরানে চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে লকডাউন শিথিল হতে থাকে। এবার দ্বিতীয় দফায় সেখানে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
প্রথম দফায় প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর চেয়ে বর্তমানের হার বেশি।
করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেজা জালিলি বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণ শুরু হওয়ার জেরে হাসপাতালগুলোতে রোগীর শয্যা ও চিকিৎসক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দাবি করেছেন, এমন কোনো সঙ্কট তার দেশে নেই।
আড়াই কোটি ইরানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং আরো সাড়ে তিন কোটি সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে করোনা সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে ইরানে। এই পরিসংখ্যান ইরানের সরকার ঘোষিত করোনায় আক্রান্তের চেয়ে অনেক বেশি।
আরো তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে। মোট দুই লাখের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
