একাধিক দেশে এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। প্রত্যেকদিনই সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে। ফলে দিন দিন আশঙ্কাও বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত টিকা নিয়ে তেমন কোনো আশা দেখাতে পারেনি কোনো দেশ।
যদিও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। বেশ কিছু দেশ ভ্যাকসিন নিয়ে কিছুটা সফল হয়েছে বলে দাবি করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
ফলে আশা-নিরাশার মধ্যেই সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এই অবস্থায় আরো এক আশঙ্কার কোথা শোনাল ডব্লিউএইচও।
করোনা রুখতে সক্ষম কোনো টিকার পুরোদমে ব্যবহার শুরুর আগেই মারণ ভাইরাসে অন্তত ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে৷ শুক্রবার এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার না হলে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বজুড়ে এর মধ্যেই প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে।
এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৩ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৬ জন।
সম্প্রতি ইউরোপে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে অনেক দেশই নতুন করে আবারও লকডাউন আরোপের বিষয়ে চিন্তা করছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু পর বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন জারি হলেও মাঝখানে বেশ কিছুদিন অনেক দেশেই কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছিল।
ইউরোপের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ড. রায়ান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিশাল এলাকায় করোনো ভয়ঙ্করভাবে বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার আগে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে কিনা এ বিষয়ে ডা. রায়ানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা অসম্ভব নয়। তবে তিনি বলছেন, করোনার চিকিৎসা অনেকটাই উন্নতির দিকে থাকায় মৃত্যুহার অনেকটাই কমে গেছে।