ট্রাম্পের কাছ থেকে অন্যদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন কনলি। শনিবার প্রেসিডেন্টের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ট্রাম্পের করোনা টেস্টে দেখা গেছে, তিনি এখন আর অন্যদের জন্য ঝুঁকির কারণ নন। পরীক্ষার ফলাফল বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শরীরে সক্রিয়ভাবে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে কনলির এ বিবৃতির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস। এমনকি ট্রাম্পের করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে কি না সেটাও নিশ্চিত করেনি কেউ।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসমাবেশে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শনিবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
রিপাবলিকান সমর্থকদের আশ্বস্ত করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এখন অনেক ভালো বোধ করছেন। আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে সবাইকে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এ নেতা।
এদিন ব্যালকনিতে আসার সময় মাস্ক পরা থাকলেও সেখানে গিয়েই সেটি খুলে ফেলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সমবেত কয়েক শ সমর্থকের মুখে মাস্ক থাকলেও সেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।
অন্য সময়ের তুলনায় এদিন একেবারেই অল্প সময়ের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সমাজতান্ত্রিক দেশে পরিণত হতে দিতে পারেন না।
করোনাভাইরাসকে আবারও ‘চীনা ভাইরাস’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, খুব শিগগিরই এর ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য দেখাচ্ছে।