গত সপ্তাহের ঘটনা। পুলিশি হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েড নিহত হবার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে ল্যাফেয়েট স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলো প্রতিবাদকারীরা। তাদেরকে অবস্থান থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী।এরপর চার্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ছবিতে পোজ দিতে দেখা যায় চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলিকে।
ট্রাম্পের ছবি তুলার সময় নিজের উপস্থিতিকে ‘ভুল’ বলে বর্ণনা করে বৃহস্পতিবার পূর্বে রেকর্ডকৃত এক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনীর প্রধান বলেন, “একজন পোষাকধারী সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে এটা মোটেই ঠিক হয়নি। ওই পরিবেশে, ওই ঘটনায় এমন ধারণার জন্ম হয়েছে যে অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে সামরিক সম্পৃক্ততা।”
ঘটনার পরপরই এর সমালোচনা আর নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা। তারা বিষয়টিকে ঐতিহ্যগতভাবে রাজনীতির বাইরে থাকা সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে নাক গলানো মতো বিষয় বলে সতর্ক করেছেন।
জেনারেল মিলির যে বক্তব্যটি মিডিয়ায় এসেছে সেটি তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য দেয়া বক্তৃতা।
তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ পদ থেকে যখন কেউ কোনো কিছু করে তখন সবাই তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। আমিও ভুলের বাইরে না। আপনারা অনেকে গত সপ্তাহে ল্যাফেয়েট স্কয়ারে আমার ছবিটি দেখেছেন। সিভিল প্রশাসনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দেশজুড়ে এটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।”
মিলি বলেন, “আমার সেখানে না যাওয়াই উচিত ছিলো। ওই পরিবেশে, ওই ঘটনায় আমার উপস্থিতিতে এমন ধারণার জন্ম হয়েছে যে অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে এটা সামরিক সম্পৃক্ততা।সামরিক পোশাকে থাকা অবস্থায় এমনটা করা ভুল ছিলো। আমার একটা শিক্ষা হয়েছে।আন্তরিকতার সঙ্গে বলছি, সবাই এটা থেকে শিখতে পারি।”