করোনায় নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস প্রজতি। সম্প্রতি করোনার এই তৃতীয় তরঙ্গে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অনেক জেলায় বেশি কিছু রোগীর শরীরে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এরপরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিবর্তে বিধিনিষেধ আরো জোরদার করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে প্রথম বার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। তার পরই রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সব জেলাগুলোকে তিন স্তরের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হবে।
রাজ্যটির মুখ্যসচিব সীতারাম কুন্তে লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, করোনা যেভাবে চরিত্রবদল করছে, তাতে সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। তাই সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার যতই কম হোক, তিন স্তরের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
এই তিন স্তরের বিধিনিষেধের আওতায় রেস্তোরাঁ, শরীরচর্চা কেন্দ্র, পার্লার বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের প্রবেশে অনুমতি রয়েছে। বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। বিয়েবাড়ি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি অতিথি নিষিদ্ধ। শপিংমল, থিয়েটার আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
করোনার ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে নিয়ে এরইমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক এবং অত্যন্ত দ্রুত ফুসফুসকে কাবু করে নেয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যান্টিবডিও এর বিরুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়ে।