রাজনৈতিক বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করলেন তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কাছে পদত্যাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আর না বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন ফখফখ।
এ নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও তুলেছে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা।
সম্প্রতি তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেসরকারি কোম্পানিতে থাকা তার শেয়ার হস্তান্তরে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। ফখফখ ক্ষমতায় থাকতেই ওই কোম্পানিটি সরকারি কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। তবে, এক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেছেন এ নেতা। এরপরও, রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গত অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করে এন্নাহদা। তারা স্বাধীনভাবে একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করলেও তিনি সংসদের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হন। এভাবে টানা চারমাস নানা টানাপোড়েনের পর সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট।