গতকাল ইদলিব পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের আহবানে আটাশ জন প্রতিনিধি নিয়ে ন্যাটোর জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই সভায় তুরস্কের জন্য ন্যাটোর আর্টিকাল-৪ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় ।
উল্লেখ্য ন্যাটোর আর্টিকাল-৪ এ বলা রয়েছে , ন্যাটোভুক্ত কোনোদেশের সার্বভৌমত্ব যদি স্থল , আকাশ কিংবা জলসীমা থেকে বিঘ্নিত হয় কিংবা হুমকির মধ্য পড়ে তাহলে অন্যান্য ন্যাটোভুক্ত দেশ ঐদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসবে ।
উক্তসভায় ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ তুরস্কের ৩৩ জন সেনা নি’হত হবার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ন্যাটোভুক্ত দেশ হিসেবে তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের একনিষ্ঠ সমর্থন রয়েছে ।
ন্যাটো খুব সম্ভবত তুরস্কে তাদের এয়ার ডি’ফেন্স স্থাপনে এগিয়ে আসতে পারে । ন্যাটোর এ সভার একদিন আগে তুরস্কের পরাষ্টমন্ত্রী তুরস্কের সেনাদের হাতে প্যাট্রিওট ক্ষেপনা’স্ত্র ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান এবং এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্র অধিদপ্তরে ফোনালাপের কথা জানান ।
অন্যদিকে সামনে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সামনাসামনি আলাপ করার কথা রয়েছে । এ আলাপে তুরস্কের ৩৩ জন সেনা এবং সিরিয়ার ৩০৯ জন সেনা হ’ত্যার প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে ।
তবে এই মুহুর্তে আমেরিকা ও ন্যাটো যদি প্যাট্রিওট ক্ষেপনা’স্ত্র ব্যবস্থা তুরস্কে মোতায়েন করে তাহলে তা রাশিয়ার জন্য মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠবে বলা বাহুল্য ।