দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অংশের উপকূল থেকে চীনের সম্পদ সংগ্রহের চেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, তিনি স্পষ্ট করে বলতে চান বিরোধপূর্ণ জলসীমার ‘নিয়ন্ত্রণ নিতে চীনের উস্কানিমূলক প্রচারণা’ ভুল। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ চীন সমুদ্রের বিশাল একটি অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে বেইজিং। তবে তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামও ওই দ্বীপের এলাকাটির দাবি করছে। কয়েক শতাব্দি ধরেই ওই এলাকাটি নিয়ে এসব দেশের বিরোধ চলছে। তবে গত কয়েক বছরে এই উত্তেজনা বেড়েছে। ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ নামে একটি এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে বেইজিং। আর দ্বীপ তৈরি, টহল এবং সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ওই দাবি জোরালো করছে।
ওই অঞ্চলে এককভাবে নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার কোনও আইনগত ভিত্তি বেইজিংয়ের নেই। যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে বলে আসছে আঞ্চলিক বিরোধে কোনও পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোমবারের বিবৃতিতে মাইক পম্পেও বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ওই অঞ্চলে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার দাবি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এসব সমুদ্র সীমায় অন্য কোনও রাষ্ট্রের মৎস আহরণ কিংবা হাইড্রোকার্বন উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে চীনের যে কোনও কর্মকাণ্ড কিংবা এই ধরণের কর্মকাণ্ড এককভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে বেআইনি।’ পম্পেও বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সমুদ্রকে নিজেদের সামুদ্রিক সাম্রাজ্য হিসেবে বেইজিংকে বিবেচনা করতে দেবে না বিশ্ব।’