দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষায় দেখা গেছে যে রাজধানীর ২৯.১ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।
দিল্লির ৫৮ লাখ মানুষের শরীরে এখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।
সম্প্রতি ভারতের রাজধানীতে একটি সমীক্ষা (Delhi Coronavirus Cases) করা হয়, যাতে ধরা পড়ে এই তথ্য।
দিল্লির দক্ষিণ পশ্চিম জেলাতেই সব থেকে বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৩৩.২ শতাংশের মধ্যে এই অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে। নয়াদিল্লি এলাকায় সেই তুলনায় এই পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। সেখানে ২৪.৬ শতাংশের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি।
৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেলে হার্ড ইমিউনিটির ব্যাপারটি শুরু হয়ে যাবে, একথাও বলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অ্যান্টিবডিগুলো ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধকারী শক্তি হিসাবে কাজ করবে বলেও জানান সত্যেন্দ্র জৈন। মন্ত্রী নিজেও কিছুদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আক্রান্ত হওয়ার পরে যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তারা মোটামুটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
দিল্লির মানুষজনের মধ্যে ১ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত চালানো হয়। এর পর আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এমন সমীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি সরকারের।
দিল্লির ১১ টি জেলা থেকে ১৫,০০০ মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য় নেওয়া হয়।
জুলাইয়ে প্রথম সমীক্ষা করা হয়েছিল দিল্লিতে। তখন দেখা যায় যে রাজধানীর ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি সাধারণত তাদের মধ্যেই পাওয়া যায় যারা নিজেদের অজান্তেই কোনো না কোনোভাবে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েও আবার নিজে থেকেই সেরে উঠেছেন।
২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ৬৯,৬৫২ জন নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,৩৬,৯২৬ জন।
সংক্রমণের হিসাবে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। সেইসঙ্গে গত একদিনের মধ্যে দেশজুড়ে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৭ জনের, ফলে মারণ রোগে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩,৮৬৬ এ পৌঁছেছে।
তবে এরই মধ্যে চিকিৎসা সহায়তায় কোভিড-১৯ থেকে ২০.৯৬ লাখের বেশি মানুষ করোনার প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে এখন ৭৩.৯০%।