দিল্লি সহিংসতার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। তাতে বরখাস্ত হওয়া আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের নাম রয়েছে।
তবে কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া উমর খালিদ এবং শরজিল ইমামের নাম নেই। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্পুরক চার্জশিটে তাঁদের নাম থাকবে।
দিল্লির করকরডুমা আদালতে সাড়ে ১৭ হাজার পাতার বিশাল চার্জশিট দাখিল করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। দু’টি ট্রাঙ্কে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নথি।
দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসার ঘটনা এবং তার পিছনে কী কী কারণ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে ওই চার্জশিটে।
চার্জশিটে অভিযুক্তদদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ওই সহিংসতায় ইন্ধন জোগানো হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, সহিংসতার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সাহায্যে সিলমপুর এবং জাফরাবাদে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল।
তদন্তকারীরা এ-ও দাবি করেছেন, প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
সহিংসতায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫০ জন মানুষের। আহত হন আরো অনেকে। ওই সহিংসতার ঘটনায় মোট ৭৫১টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ৫৯টির তদন্ত করছে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের বিশেষ দল।
৬৯১টি তদন্তের দায়িত্বে জেলা পুলিশ এবং একটি মামলা তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।