রাহুল গান্ধী এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ নীতি’র সমালোচনা করলেন।
গতকাল এক টুইট বার্তায় রাহুল বলেন, বন্ধুবিহীন হয়ে প্রতিবেশে বাস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কংগ্রেস দল কয়েক দশক ধরে যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল মোদি সে সম্পর্ক একের পর এক নষ্ট করছেন।এ মন্তব্যের সঙ্গে তিনি লন্ডনের দি ইকোনমিস্ট পত্রিকার সর্বশেষ সংখ্যা যুক্ত করে দেন।
এ সংখ্যায় ভারত যত দূরে যাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ততই নিবিড় হচ্ছে’ এ শিরোনামে প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে, বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগে চীন এখন ভারতকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ভিডিও মারফত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি অনুযায়ী এ বৈঠক। সরকারি সূত্র রাহুল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জানান, ওই পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তার উদ্দেশ্য ছিল ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নষ্ট করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীন বাংলাদেশে সাতটি ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মাণ করছে।
২০১৮ সালের মধ্যে চীন পুঁজি লগ্নির বিষয়ে ভারতকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ জাহিদ ইসলামকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, এখন চীন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, টেলিকমসহ পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বত্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে।