পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নারীর পোশাক নিয়ে বলেছেন, যদি একজন নারী স্বল্পবসনা বা ছোট পোশাক পরিধান ঘুরে বেড়ান, তাহলে সেটির প্রভাব একজন পুরুষের ওপর পড়তে বাধ্য এবং এর ফলে পুরুষের মন চঞ্চল হতে পারে। আর এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। অবশ্য তিনি যদি রোবট হন তাহলে ভিন্ন কথা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এইচবিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। টেলিভিশন চ্যানেলটিতে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- পাকিস্তানে বাড়তে থাকা ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে তার সরকার এখন পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে তিনি ‘এক্সিওস অন এইচবিও’ নামের একটি ডকুমেন্টরি নিউজ সিরিজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
এ ধরনের আচরণ হলো সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের একটি দেশীয় সংস্করণ। আমাদের সংস্কৃতিতে যে বিষয়টি গ্রহণীয় তা অন্য সংস্কৃতিতেও আবশ্যকভাবে গ্রহণীয় হবে, এটা সম্ভব নয়।
তিনি এটাও বলেন যে, কামনা বা বাসনা সংবরণ করার জন্যই পর্দাপ্রথা চালু হয়। কিন্তু এই সংবরণের জন্য ইচ্ছাশক্তি সবার নেই।
মাসখানেক আগেও এমন মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশটিতে বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনার কারণ হিসেবে অশালীনতাকে দায়ী করেন। তখন ইমরান খান মন্তব্য করেন, যৌন সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য অশ্লীলতা ও তার চর্চাই দায়ী।
অশ্লীলতা ও অপকর্মের প্রসাররোধে তিনি নারীদের পর্দা করে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পর্দাপ্রথার মাধ্যমে অশ্লীলতা ও অপকর্মের প্রসার রোধ করা যায়।