জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের মোকাবিলায় আমেরিকা আরেকবার লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি দিয়ান দিজানিস মঙ্গলবার রাতে পরিষদের এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করার যে আবেদন জানিয়েছে তা গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ সদস্যদেশের মধ্যে ১৩টি দেশই এর বিরোধিতা করায় এই ম্যাকানিজম নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধি আনা গুইগুন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর ইরানের পরমাণু সমঝোতার অংশ নয়; কাজেই তার পক্ষে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করার আবেদন জানানোর অধিকারই নেই।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, আমেরিকা গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের যে আবেদন জানিয়েছে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
বৈঠকে চীনা স্থায়ী প্রতিনিধি জং জুনও একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
মাইক পম্পেও গত ২০ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে ইরানকে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে দেশটির বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক চালু বা সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন জানান।
গত সপ্তাহে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করার যে চেষ্টা চালিয়েছিল তাও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা না হলে ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করা হবে।কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে পরপর দু’বার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলো যা এই বিশ্ব সংস্থার পাশাপাশি আমেরিকার বলদর্পিতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।