পাকিস্তানে বিমান দূর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ১০৭ আরোহীর কেউ জীবিত নেই বলে জানিয়েছেন করাচির মেয়র ওয়াসিম আখতার। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এলাকার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিআইএর জেট বিমানটি লাহোর থেকে ৯৯ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু নিয়ে রওনা হয়েছিল।
পাকিস্তানের বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটিতে ৯৯ জন যাত্রী এবং আটজন বিমান কর্মী ছিলেন। লাহোর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে। পাকিস্তান বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল সাত্তার খোখার জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে করাচিতে, আমরা ঠিক কতজন যাত্রী বিমানে ছিল তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রাথমিকভাবে বিমানে ৯৯ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলে পাকিস্তান আইএসপিআরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, ওই আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে কালো ধোঁয়া উড়ছে।
রাস্তায় ছুটে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
করোনাভাইরাস লকডাউনের পর বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে করাচিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটলো। এর আগে ২০১০ সালে ইসলামাবাদে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫২ জন প্রাণ হারায়। ২০১২ সালে পাকিস্তানের ভোজা এয়ার পরিচালিত একটি বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২১ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে আরেকটি বিমান ৪৭ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি এক বিবৃতিতে নিহতদের পরিবারবর্গের পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকার ও জনগণকে শোক ও সমবেদনা জানান।