পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর ধারণা- সম্ভবত পারমাণবিক ক্ষুদে অস্ত্র তৈরি করছে দেশটি। আর এই ক্ষুদে অস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে বসানো যায়।
দেশগুলোর ধারণা উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব পরীক্ষা দেশটিকে ছোট আকারের পারমাণবিক ডিভাইস তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া কোনও ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন এই প্রতিবেদনে দেখতে পেয়েছে রয়টার্স। সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের উত্তর কোরিয়াবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা কমিটির কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়।
কোরিয়া অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন এবং পরীক্ষামূলক লাইট ওয়াটার রিঅ্যাক্টর স্থাপনসহ পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য একটি দেশের পর্যবেক্ষণে গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন চালু রেখেছে বলে জানানো হয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিয়োজিত দেশটির মিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
বহির্বিশ্বের নিরবচ্ছিন্ন চাপ এবং সামরিক হুমকি সত্ত্বেও নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র দেশের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের গ্যারান্টি হওয়ায় ‘আর কোনও যুদ্ধ হবে না’ বলে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
আরেকটি সশস্ত্র সংঘাত ঠেকাতে ‘নিরঙ্কুশ শক্তি’ অর্জনের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া। সর্বোচ্চ শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছি। আমরা এখন যেকোনও সাম্রাজ্যবাদী ও বৈরী শক্তির তীব্র চাপ এবং সামরিক হুমকির মুখে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম।
ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করার লক্ষ্যে দুই দেশের মাঝে আলোচনা শুরু হলেও বর্তমানে তা আটকে আছে। এর মাঝেই উত্তর কোরিয়ার নেতা তার দেশের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের ব্যাপারে কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা অর্জনের কথা বলেন।