গত বছরের ৮ আগস্ট আমার জীবনের অন্যতম আনন্দের দিন ছিল। কারণ ওই দিনই বাবা ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ঠিক এক বছর পর ১০ আগস্ট বাবা গুরুতর অসুস্থ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ওঁর জন্য যেটা ভাল, সেটাই যেন হয়। ভালমন্দ- দুই-ই যেন সহ্য করার ক্ষমতা ওঁর থাকে। বাবার জন্য প্রার্থনা করায় প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির আদিবাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারে ভূমিপুত্রের সুস্থতা কামনা করে মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞও করা হয়েছে, কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি এখনো। আর এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি।
বাবার এমন সংকটকালে মনকে শক্ত করতে হবে। ভেঙে পড়লে চলবে না। আমাকে শক্তি দিন যেন ভালো-খারাপ যাই হোক তা মেনে নিতে পারি। যাঁরা ওঁর জন্য উদ্বিগ্ন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রপতিকে এরই মধ্যেই হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই দ্রুত আরোগ্য কামনায় টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৫ সালের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর প্রণব বাবুকে দেখে রেখেছেন উনার কন্যা শর্মিষ্ঠা যিনি কংগ্রেসের একজন নেত্রী ও বটে।
রবিবার নিজের বাড়িতে পড়ে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মাথায় আঘাত লাগে। অবশ হতে থাকে বাঁ-হাতও। সোমবার তাই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
চিকিৎসকরা দ্রুতই অস্ত্রোপচার দরকার। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। সেই খবর তিনি নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন।
অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তোলাটা চিকিৎসকদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েই তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপরই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন না। অর্থাৎ বেশ সংকটজনক পরিস্থিতিতেই রয়েছেন এককালের দাপুটে কংগ্রেস নেতা।