মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন ক্যাপিটাল হিলে শপথ নিতে চলেছেন। বাইডেন ও কমলা হ্যারিস ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন।
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান যেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের আড়ত না হয়ে ওঠে, সে জন্য আগে থেকেই চূড়ান্ত সতর্ক নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দল।
বাইডেন টিমের পক্ষ থেকে গতকাল প্রথমবারের জন্য শপথগ্রহণ নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান মাজু ভার্গিস।
প্রথমে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সংক্রমণ বাঁচিয়ে কীভাবে সুষ্ঠু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়, সেটাই তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামী ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলের পশ্চিমাংশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। সে জন্য এরই মধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।
দেশ-বিদেশ থেকে যেসব নিমন্ত্রিত অতিথি ওই অনুষ্ঠান দেখতে যাবেন, তার তালিকা এবার একেবারে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন প্রত্যেকে এবার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসে টিভিতে শপথ অনুষ্ঠান দেখেন।
কিন্তু ভাবনা চিন্তা চলছে প্যারেড নিয়ে। এই শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্যারেডে অংশ নেন। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় বাইডেন-হ্যারিস আবেদন জানিয়েছেন, অন্য প্রদেশ থেকে আমেরিকার মানুষ যেন রাজধানীতে না আসেন। ওয়াশিংটনের কয়েকটি বড় রাস্তায় কিভাবে সংক্রমণ বাঁচিয়ে প্যারেড করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন ভার্গিস।
রীতি অনুযায়ী বিদায়ী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে চা খেয়ে শপথ নেন নতুন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এবার তা হবে কি না তা জানা নেই টিম বাইডেনের।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ অনুষ্ঠানে আসবেন কি না তা-ও তারা জানেন না। ট্রাম্প গত রবিবার তাঁর পছন্দের এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, এ নিয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাই না।