দেশের একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকে দিল্লির সেনা হাসাপাতালে দীর্ঘ লড়াই চালান করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কীর্ণাহারের কৃতী সন্তান। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল থেকে সমগ্র দেশবাসী। আজ দিল্লিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষযাত্রা ও শেষকৃত্য হবে করোনা গাইডলাইন মেনেই। প্রণববাবুর শেষ ঠিকানা ১০ নম্বর রাজাজি মার্গের বাসভবনেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন সবাই।
এদিন সকাল ১০টায় রাজাজি মার্গের বাসভবনে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর সকাল ১০টা ৭ নাগাদ আসার কথা রয়েছে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর। সকাল সোয়া ১০টায় উত্তরসূরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ১০ নম্বর রাজাজি মার্গে আসবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
আসবেন লোকসভার স্পিকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সবাই। এরপর সকাল ১১টা থেকে ১২টা, এই ১ ঘণ্টার মধ্যে প্রণববাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষও। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নশ্বর দেহ নিয়ে আসার আগে স্যানিটাইজ ও পরিষ্কার করা হয়েছে গোটা রাজাজি মার্গটাই।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি জীবন থেকে অবসরের পর ১০ নম্বর রাজাজি মার্গে এসে উঠেছিলেন প্রণববাবু। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে অবশ্য তাঁর ঠিকানা ছিল ১৩ নম্বর তালকোটরা রোড।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারের জীবনের সাক্ষী এই ঠিকানা। এই বাড়ি। ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই বাড়িতেই থাকতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ভারতীয় রাজনীতির অনেক উত্থান পতনেরই সাক্ষী এই ১৩ নম্বর তালকোটরা রোড। রাজনৈতিক কেরিয়ারে একের পর এক সিঁড়িতে উঠেছেন, পদোন্নতি হয়েছে, কিন্তু এই বাড়িকে কখনও ছেড়ে যাননি প্রণববাবু।
প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে ১৩ নম্বর তালকোটরা রোডের এই বাড়িও যেন হয়ে উঠেছিল ক্ষমতার এক কেন্দ্রবিন্দু। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসরের পর এই বাড়িতেই ফিরতে চেয়েছিলেন প্রণববাবু। তবে প্রোটোকল মেনে ১০ নম্বর রাজাজি মার্গের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন তিনি।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ১০ নম্বর রাজাজি মার্গের বাড়ি-ই ছিল প্রণববাবুর শেষ ঠিকানা।