আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে হাতকড়া অবস্থায় এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা শহর। টানা তৃতীয় দিনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে রাতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে সিএনএনের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার ও করে।
গত ২৫ই মে পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের (৪৬) মৃত্যুর পরপরই ফ্লয়েডের হত্যার বিচার দাবিতে এক আন্দোলন শুরু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় হাটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গের গলা চেপে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিল এবং বারবার কাকুতি জানাতে থাকে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ঐ শহরের জনসাধারণ। এরপর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু হলেও তা ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে চলে যায়।
এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিনিয়াপোলিসের অরাজকতা ঠেকাতে ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেন স্থানীয় মেয়র জ্যাকব ফের। তিনি টুইটারে বলেন, মেয়র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে জাতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের তিনি নিয়োজিত করবেন। তিনি টুইটে আরও লেখেন, যদি লুটপাটের খবর শোনা যায় তখন গুলিরও নির্দেশ আসবে।