করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর হামলাও দমাতে পারেনি পাবজি (PUBG) খেলার নেশায় পাগলদের। বরং এই সময় পাবজি খেলার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে গেছে।
সেন্সর টাওয়ার নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে এই মহামারীর সময়েও ভালোরকম আয় (PUBG Mobile Revenue) করেছে পাবজি মোবাইল (PUBG Mobile) গেম তৈরির সংস্থাটি। আসলে পাবজি যেন একটা নেশার মতো, যারা একবার এই গেমের নেশায় মত্ত হয়েছে তারা এর জন্যে বোধহয় যেকোনও কিছু করতেই পিছপা হয় না।
টাকা তাঁর বাবা চিকিত্সা খাতে ব্যয়ের জন্যে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করেছিলেন। পাবজির নেশায় বাবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জন করা সেই টাকা বিনা চিন্তাভাবনায় নষ্ট করেছে কিশোরটি।
যেমন পাবজি গেমের নেশায় (PUBG Addiction) বুঁদ পাঞ্জাবের এক ১৭ বছরের কিশোর বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করতেও দু’বার ভাবেনি। পাবজির বিভিন্ন পেড অ্যাপ্লিকেশন কিনতে গিয়ে এবং গেম আপগ্রেড করতে গিয়ে ওই বিপুল অর্থ রীতিমতো উড়িয়ে দেয় সে।
পাঞ্জাবের খারারে থাকা ওই কিশোরটি কাছে তাঁর মা-বাবার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরই অ্যাক্সেস ছিল, বরাবরই সেখান থেকেই সে পাবজি গেমটি আপগ্রেড করতো। কিন্তু ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে যে এত বিশাল অঙ্কের অর্থ খেসারত দিতে হবে তাঁদের তা একেবারেই কল্পনা করতে পারেননি অভিভাবকরা।
কিশোরের বাবা একজন সরকারি চাকুরে। তিনি ভবিষ্যতে চিকিত্সার জন্য ওই টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথমে টেরই পাননি যে তাঁর ছেলে এমন কাণ্ড করছে, কারণ কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় ছিলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভদ্রলোক জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে ওই মায়ের মোবাইল ফোন থেকে ওই সমস্ত লেনদেন করতো এবং তারপর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ সংক্রান্ত যে মেসেজটি আসতো সেটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিত। ফলে আমরা কিছু জানতেই পারিনি সেই সময়।’