মহামারি করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। অবশেষ সীমিত পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোও যতটা সম্ভব তুলে নিচ্ছে দেশটি।
চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সতর্কতার সাঙ্গেই আজ বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য এক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলো শিথিল করায় চীনের কয়েক ডজন শহরে এখন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে।
দ্য সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না (সিএএসি) জানিয়েছে, চীনে বর্তমানে চলাচল করতে পারছে না এমন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো আগামী ৮ জুন থেকে তাদের পছন্দমতো চীনের যে কোনো একটি শহরে সপ্তাহে একবার একটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। তবে তা হবে বিধিনিষেধ মেনে।
করোনার সংক্রমণ রোধ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ছাড়াও আর কিছু বিষয় থাকবে। যদি কোনো ফ্লাইট চীনে প্রবেশের পর সেখানকার পাঁচজন যাত্রী করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় তাহলে পরের সপ্তাহে ওই এয়ারলাইন্স চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না। আর যদি তা ১০ জন হয় তাহলে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা।
উহানে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপর চীনও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়। তারপর থেকে দেশ দুটির মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে হুশয়ারি আসার পর চীন এমন পদক্ষেপ নিল। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র চীনের যাত্রীবাহী বিমানগুলো তাদের বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওয়াশিংটন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর চীনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন সিদ্ধান্ত।