নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাতে বিশ্ববাসীকে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। পাশাপাশি জাতিগত আর্মেনিয়ান অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি আহ্বান করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসোগলু মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজদানী বাকু সফরে এসে বিশ্ববাসীর কাছে এ দাবি জানান। যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দুই দেশকে সমপর্যায়ে দাঁড় করানো মানে দখলদারকে পুরস্কৃত করা।
বিশ্বকে অবশ্যই সঠিক যারা, অর্থাৎ আজারবাইজানের পক্ষে দাঁড়াতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান রয়েছে। যুদ্ধবিরতি হলো, তবে এর পরে কী হবে?’
বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিরোধের জের ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বড় শহরগুলোতে পরস্পরের গোলাবর্ষণ শুরু করার পর রাশিয়া, আমেরিকা ও ফ্রান্স দেশ দুটিকে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে।
এর একদিন পরেই বাকু সফরে এসে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাবটি আগের থেকে আলাদা নয়। ঠিক আছে, যুদ্ধবিরতি হোক তবে ফলাফল কী হবে? আপনি কি (বিশ্ব) আর্মেনিয়াকে অবিলম্বে আজারবাইজানীয় অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলতে পারবেন বা এর প্রত্যাহারের জন্য সমাধান তৈরি করতে পারবেন? পারবেন না। তারা প্রায় ৩০ বছর ধরে একই রকম প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখের মালিকানা ঘিরে প্রতিবেশি দুই দেশে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকের পর এই অঞ্চলে এত বড় সংঘাত আর কখনও দেখা যায়নি।