শতাব্দীর ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ সকাল পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজারের বেশি।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৩৩ লাখ ৭ হাজার ৬৯১ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮০৫ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫০ হাজার ৯৪৪ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫ জন রোগী মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬৮ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৫৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট সাত হাজার ৬৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। তিনি জানান মোটে ২৯টি কেন্দ্রে করোনার পরীক্ষা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিয়মিত বুলেটিনে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৬২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা গত দিনের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫৪ ভাগ বেশি এবং চার হাজার ৯৬৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। যা গত দিনের চেয়ে দশমিক ৬ ভাগ কম। এর মধ্য থেকে ৫৬৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত আরো ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ১৬০ জন সুস্থ হয়েছে।
এ ছাড়া ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, সারা দেশে ২৯টি ল্যাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল ( অ্যাপোলো হাসপাতাল)-এর পরীক্ষা আজকের সংখ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে এক লাখের বেশি কিট মজুদ আছে। এ ছাড়া নতুন কিট আনা হচ্ছে।’
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশে ৬৪ হাজার ৬৬৬ জনের করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
