শতাব্দীর ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সংক্রমিত হয়ে আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার জনে।
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২০ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৭ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫১ হাজার ১৪২ জন (৪ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৩৩৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং এক লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ জন রোগী মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এই ভাইরাসের উৎসস্থল চিন হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে অন্যান্য দেশ। প্রথমে চিনকে পিছনে ফেলেছিল ইউরোপীয় দেশ ইতালি। সেই পথেই এগোচ্ছিল স্পেন-ফ্রান্স-ব্রিটেন। মাঝপথে আচমকাই আক্রান্ত এবং মৃতের হার বেড়ে যায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই একদিনে মৃতের সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড গড়েছে মার্কিন মুলুক। এই দেশের কোভিড ১৯ পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠেছেন বিশেষজ্ঞরাও।
এখনও পর্যন্ত আমেরিকাতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন করোনার জেরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬,১৪,৪০৬। মৃত্যু হয়েছে ২৬,১৬৪ জনের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্ক শহরের। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৩,১২৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০,৮৩৪ জনের। এর পরেই রয়েছে স্পেন। আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১,৭৭,৬৩৩। মৃত্যু হয়েছে ১৮৫৭৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যায় স্পেন ছাপিয়ে গিয়েছে ইতালিকে। তবে মৃত্যুপুরী ইতালিতে করোনার বলি হয়েছে মোট ২১,০৬৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬২,৪৮৮। আচমকাই ব্রিটেনে মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮,৪৭৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ১২,৮৬৮ জনের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ফ্রান্স এবং জার্মানিতেও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। ফ্রান্সে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩,৩০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫,৭২৯ জনের। আর জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩২,৫৫৩। মৃত্যু হয়েছে ৩৫২৮ জনের। আক্রান্তের তুলনায় জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ২১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট এক হাজার ২৩১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।